শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শেরপুরে মামা ও চাচার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ধলা ইউপিতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। ধর্ষকরা হলেন একই গ্রামের তমছের আলীর ছেলে কলেজ ছাত্র ফোরকান আলী ও হারেজ আলীর ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহীন মিয়া। ওই মাদরাসা ছাত্রী ফোরকানের দূর সম্পর্কের ভাগনি ও শাহিনের ভাতিজী। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও সদর থানার ওসি মনসুর আহাম্মেদ। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, ফোরকান ও শাহিন বেশ কিছুদিন যাবত ভিকটিমকে উত্যক্ত করে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এ সময় আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা ফোরকান ও শাহিন ওই ছাত্রীর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে ওই ছাত্রী অসুস্থ অবস্থায় অন্ধকারে পথ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী চান্দেরনগর গ্রামের কৃষক ইমরান মিয়ার বাড়ির গোয়ালঘরে আশ্রয় নেয়।
ওইদিন রাতেই কৃষক ইমরান তার গোয়ালঘরে ঢুকে ছাত্রীটির সারা শরীর কাদামাখা অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে তার বাড়িতে মা বাবার কাছে দিয়ে আসে। পরে ছাত্রীটি তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া।
Leave a Reply